
লালমনি নিউজ ডেস্ক রিপোর্টঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে টিকটিকিরহাট হইতে মামা-ভাগিনা বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার দুইপাড়ে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অধিকহারে প্রবাহের ফলে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির অনেক অংশেই এখন কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইটের খোয়া বের হয়েছে। আলগা ইট ও নুড়ি পাথরের কারনে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পথচারীরা । ফলে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে আবার পুরো রাস্তায় যানবাহন ওভারটেকিং করা কোনভাবেই সম্ভব হয়না।
জানা যায়, ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের টিকটিকিরহাট হইতে মামা-ভাগিনা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে কলিম উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। ২০১৯ সালে এই আঞ্চলিক সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
এলজিইডির অধিনস্থ এই রাস্তাটি ২০১৯ সালে তৈরী করা হলেও ২০১৯সালের মাঝামাঝি সময়ে দেখা যায় যে, এটি যেন ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই সড়কে ট্রাক, মাইক্রো, বালুবাহী ট্রলি, ইজিবাইক, ভ্যান ও ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এই অঞ্চলের (চরখাটামারী, বস্তিখাটামারী, আলোকদিঘি, চরবুদারু, চর মেকলি, পশ্চিম ধনিরাম, সোনাইকাজি, নবীন বাজার, কোদলকাটি, টিকটিকিরহাট, টুংটুংগির চরসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষ) লালমনিরহাট জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক দিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল হক জানান, আমাদের এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহন মালিকরা ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি যানবাহন এই রাস্তায় দূর্ঘটনা শিকার হয়েছে।
ইজিবাইক মালিকরা জানান, রাস্তার প্রস্থ কম থাকায় এবং রাস্তার দুই ধারে বাঁশঝাড়, গাছপালা থাকায় দুটি গাড়ি ওভারটেকিং করা কোনভাবেই সম্ভব হয়না। রাস্তায় অনেক স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া ঝাঁকুনির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে এবং সাধারণ পথচারীরা তো খালি পায়ে হাঁটতে পারেনা ওই পাকা রাস্তা দিয়ে।
এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবি যাতে রাস্তাটির কাজ দ্রুত করা হয়।